স্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মোস্তফাপুর এলাকায় শতবর্ষী পারিবারিক কবরস্থানের জায়গা দখল করে ব্যক্তিগত রাস্তা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার লিয়াকত উল্ল্যার বিরুদ্ধে। এঘটনায় মৌলভীবাজার জজ আদালতে মামলা করেছেন কবরস্থানের উত্তরাধিকারী সৈয়দ উবেয়দুর রহমান (মামলা নং ১৩/১৯)। এদিকে ওই রাস্তার পূর্ব পাশে জোরপূর্বক জামান আহমেদের ২০/২৫টি গাছ কেটে রাস্তা নেয়া হয়েছে। এর পিছনে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বর্তমান ইউপি সদস্য আবু সুফিয়ানের হাত রয়েছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। স্থানীয়রা বলছেন একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় একনটি হচ্ছে।
জানা যায়, প্রায় এক শত বছর যাবত সৈয়দ উবেয়দুর রহমান ও মৃত সৈয়দ আবু বকর এর বাবা, চাচা, ও দাদা সহ আত্মীয় স্বজনদের ওই কবরস্থানে দাপন করা হয়। স্থানীয়দের কাছেও ওই জায়গা সৈয়দ উবেয়দুর রহমানদের পারিবারিক কবরস্থান হিসেবে পরিচিত। কিন্তু বিগত ২০১৯ সালে ১৯ জানুয়ারী ভোরে কবরস্থানের দক্ষিণ পাশের পাকা ভাউন্ডারি দেয়াল ভেঁঙ্গে ৬ ফুট রাস্তা করেন লিয়াকত উল্যা। তারা ওই রাস্তার পূর্ব পাশে যুবলীগ নেতা জামান আহমেদের গাছ কেটে রাস্তা নিয়েছেন।
এদিকে মামলার দতন্তে মৌলভীবাজার মডেল থানার একাধিক কর্মকর্তা তদন্ত করে এর সত্যতা পেয়েছেন। কিন্তু এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত রহস্যজনক কারনে প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নেয়নি। অভিযোগ রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতাকর্মীরা প্রশাসনকেও প্রভাবীত করছেন।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, লিয়াকত উল্যাহ দীর্ঘ দিন যাবত এলাকায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করে আসছেন। নানা ভাবে হয়রানি করছেন এলাকার নিরহী মানুষকে। ভয়ে অত্যাচারের প্রতিবাদ করছেন না কেউই।
মামলার বাদী ও বর্ষীয়ান আওয়ামীলীগ কর্মী সৈয়দ উবেয়দুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, কবরস্থানের ওই জায়গাটা লিয়াকত উল্যা সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে দখল করেছেন। মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ রুমেল আহমদ ও বর্তমান ইউপি সদস্য আবু সুফিয়ান এর সহযোগীতায় লিয়াকত ওই জায়গা দখল করেছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য একাধিক আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের কাছে গেলেও এপর্যন্ত কোনো সমাধান পাইনি।
ইউপি সদস্য আবু সুফিয়ান বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এটা সরকারি জায়গা। জনসাধারনের যাতায়াতের জন্য ওই জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। সরকারি জায়গা হলে আপনার সহযোগীতায় লিয়াকত উদ্ধার করবে কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে এটা আমার দায়িত্ব। তিনি আরও বলেন, সৈয়দ উবেয়দুর রহমান ৩ হাত ও তার চাচাতো ভাই লন্ডন প্রবাসী কছরু মিয়া ৩ হাত জায়গা রাস্তার জন্য ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে তাদের উপস্থিতিতে দিনে দেয়াল ভেঁঙ্গে রাস্তা করা হয়।
লিয়াকত উল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ রুমেল আহমদ ও বর্তমান ইউপি সদস্য আবু সুফিয়ান অবগত আছেন। তাদের সহযোগীতায় আপনি কবরস্থানের দেয়াল ভেঙ্গে রাস্তা করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। পরে তিনি বলেন, আমি কুলাউড়ায় আছি, সরাসরি বসে আপনার সাথে বিস্তারিত কথা বলব।
Post Views:
0