ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের আলাপুর গ্রামে বাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্ধারণ নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় ৪ জন গুরুত্বর আহত হয়েছেন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ২২ এপ্রিল সকালে ইউপি সদস্য রাজা মিয়া’র বাড়ির উঠানে এই ঘটনা ঘটে। এঘটনায় সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রাজা মিয়া বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
আসামীরা হলেন, (১) শাহজাহান মিয়া (২) শাহাব উদ্দিন (৩) ইলাছ মিয়া (৪) আনোয়ার মিয়া (৫) ইকবাল মিয়া ও (৬) আজিজুর রহমান। অজ্ঞাত আসামী হিসেবে আরও ২/৩ জনকে রাখা হয়েছে।
এ ঘটনায় ২৩ এপ্রিল বিকালে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সরকার বাজার থেকে মামলার ২নং আসামী শাহাব উদ্দিনকে আটক করে। তবে পুলিশ বলছে বাকী আসামীদের গ্রেফতার করতে তাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন আসামীদের সাথে মামলার বাদীর বাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্ধারণ বৈঠক ছিল। দীর্ঘ দিন ধরে তাদের মধ্যে ওই সীমানা প্রাচীর নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ সময় আসামীরা ইউপি সদস্য রাজা মিয়ার বাড়ি’র পাঁকা খুটি তুলে ফেলে। তখন ইউপি সদস্যের লোকজন বাদা দিলে আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা শুরু করে। হামলায় ইউপি সদস্য রাজা মিয়ার চাচাতো ভাই মাওলানা সামছুল হক, ভাতিজা ফজলু মিয়া, জিতু মিয়া ও রুমান মিয়া গুরুত্বর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় সামছুল হক, ফজলু মিয়া ও জিতু মিয়াকে সিলেট এম এ জি উসমানী হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান অরবিন্দু পোদ্দার বলেন, তাদের বাড়ির সীমানা প্রাচীর নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ইউপি সদস্য রাজা মিয়ার কয়েকজন লোক আহত হয়েছেন। এঘটনায় মামলা হলেও স্থানীয়ভাবে সমাধানের জন্য উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা চলছে। আশা করা যায় একটা সমাধানে যাবে।
মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন বলেন, ঘটনার পরের দিন ২ নং আসামী শাহাব উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। আর যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে যে জন্য আমাদের ফোর্স তৎপর রয়েছে।
মৌলভীবাজারে অতর্কিত হামলায় আহত ৪
