ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
করোনা ভাইরাস সংক্রামনে মৌলভীবাজার জেলা শহরের অধিকাংশ মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামে অবস্থান করছেন। গত ৫ দিন যাবত মৌলভীবাজার শহর পুরোটাই ফাঁকা। প্রশাসনের তদারকিতে শহরে দ্রব্য মূল্যের দামও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু গ্রামে মানুষ বাড়ার সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঠিক দতারকি ও দায়িত্বহীনতার কারণে গ্রাম্য বাজার গুলোতে ক্রমান্বয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ছে। একারণে বেকায়দায় পড়েছেন দিনমজুররা। স্বচ্ছল অনেক পরিবার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বেশি দাম দিয়ে ক্রয়ের ক্ষমতা রাখলেও বিপাকে পড়েছে দরিদ্র শ্রেণির মানুষ। দিনমজুর পরিবারের অভিযোগ, ভোক্তা সংরক্ষণ অধিকার, উপজেলা প্রশাসন কিংবা পুলিশ বিভাগের নিয়মিত তদারকি না করার কারনে এমনটি হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মৌলভীবাজার শহরে চাউল (সরু) ৪২ টাকা বিক্রি হলেও গ্রামের বাজারে ৫০ টাকা, পেঁয়াজ ৩৫ টাকা বিক্রি হলেও গ্রামের বাজারে ৬০/৭০ টাকা, রসুন ১৫০ টাকা বিক্রি হলেও গ্রামের বাজারে ১৭০/১৮০ টাকা ও পেট্টল প্রতি লিটার ৮৭ টাকা বিক্রি হলেও গ্রামের বাজারে ১০০/১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি দ্রব্যের দাম বাড়তি।
এবিষয়ে জেলার রাজনগর, কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা ও কমলগঞ্জ উপজেলার প্রত্যান্ত গ্রামের একাধিক দিনমজুর পরিবারের সাথে কথা হলে তারা বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে এমনিতেই কাজ নেই। বেশির ভাগই বেকার সময় পার করতে হচ্ছে। এর মধ্যে বাজারে এক শ্রেণির অসাধু দোকানদাররা জিনিষ পত্রের দাম বাড়িয়ে রেখেছে। যা অনেকটাই আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে। দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান।
জেলা ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আল-আমিন গ্রামের বাজারে বেশি দাম নেয়া হচ্ছে এ কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, “আমরা গ্রামের বাজার গুলোতে অভিযান চালানোর সাথে সাথে ওরা দাম কমিয়ে ফেলে। গ্রামের বাজারে অতিরিক্ত দাম নেয়া হচ্ছে এরম কোনো ভিডিও অথবা রেডর্ক আমাদেরকে দিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারতাম। গ্রামের বাজার গুলোতে দ্রব্য মূল্যের দৈনিক খুচরা মূল্য তালিকা টানানো থাকলে এমনটি হতো না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দৈনিক খুচরা মূল্য তালিকা টানানোর ব্যবস্থা করা হবে।
Post Views:
0