ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার লাঘটা নদীর আদমপুর অংশ খনন করতে গিয়ে শতাধিক কবরস্থান কেটে নদী গর্ভে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে সোমবার সকালে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করেছেন। এনিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। নদী খননের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে এলাকাবাসী ০১ মার্চ মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডে একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন। কিন্তু স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবিষয়ে কোনো প্রদক্ষেপ নেয়নি।
জানা যায়, উপজেলার কামারচাক ইউনিয়ন দিয়ে ভয়ে গেছে লাঘটা নদী। নদীর ১২ কিলোমিটার খননের জন্য কাজ পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইসরাত ইন্টারন্যাশনা। বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৬ কোটি টাকা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, খনন শুরুর পর থেকেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা অনিয়ম করে আসছেন। শ্রমিকরা চর (ভরাট) অংশ খনন না করে বিপরীত অংশ খনন করছে। মানা হচ্ছে না নদী খননের ওয়ার্ক ওয়াটার। এসময় ড্রাইভারকে টাকা না দিলে ইচ্ছা করে গাছপালা কেটে নদীতে ফেলে দেয়। এদিকে গত ৪/৫ দিন যাবত শতবছরের পুরাতন আদমপুর কবরস্থানের একটি অংশ খনন করে নদীতে ফেলে দিয়েছে। এসময় অনেক মৃত ব্যক্তির লাশ, হাড় ও কাপনের কাপড় কবর থেকে বের করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা নদীতে ফেলে দেয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ ওই কবরস্থানে প্রায় ৪/৫ হাজার মৃত ব্যক্তিকে দাফন করা হয়েছে। খনন কাজে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রায় শতাধিক কবরস্থান নদী গর্ভে বিলিন করে দিয়েছে। শুরুতে বাধা দিলেও এলাকাবাসীকে ভয় ভীতি দেখানো হয়।
এবিষয়ে কামারচাক ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গফ্ফার মায়া বলেন, “এলাকাবাসী বাঁধা দিলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন পুলিশ দিয়ে গ্রেফতারের ভয় দেখায়। এই সুযোগে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন সাধারণ মানুষের গাছপালা কেটে নদী গর্ভে ফেলে দেয়।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহি প্রকৌশলী নরেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বলেন, কামারচাক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হক সেলিম বিষয়টি আমাকে অবগত করেছেন। আগামীকাল লোক পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লাঘটা নদী খনন-রাজনগরে শতাধিক কবরস্থান নদী গর্ভে
