ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন সম্মন্ন হয়েছে। দীর্ঘ ১৫ বছর পর শনিবার সকাল ১১ টায় জুড়ী শিশু পার্ক মাঠে অনুষ্ঠিত ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রথমে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে আলোচনা সভার কাজ শুরু হয়। জুড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা বদরুল হোসেন এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাসুক আহমদ ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মামুনুর রশিদ সাজুর যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি। উদ্বোধকের বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নেছার আহমদ এমপি। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন আহমদ এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ,বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক রফিকুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মিছবাহুর রহমান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন।
এছাড়াও আওয়ামীলীগের জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, টানা ৩য় বারের মত ক্ষমতায় থেকে আওয়ামীলীগ এদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছে। এটা আজ প্রমানিত। আওয়ামীলীগই পারে এদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে। আর এজন্যই মানুষ বার বার আওয়ামীলীগকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এনেছে। জিয়াউর রহমান ক্যাসিনো আইন করে বৈধ করেন। মির্জা ফখরুল জিকে শামিমের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা নিতেন। তিনি বলেন জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী এবং পাকিস্তানের একজন এজেন্ট ছিলেন। তিনি স্বাধীনতার পর স্বাধীনতা বিরোধীদের রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসিয়েছিলেন। ২০১৩ সালে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতক রাজাকারদের ফাঁসির ব্যাপারে শোক প্রস্তাব নেয়া হয়েছিলো। জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করতেন না। তার আমলে ১২শ কর্মকর্তা কে এবং ২৬হাজার আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিলো। ৪০লক্ষ মেঃ টন খাদ্য ঘাটতি নিয়ে দেশের ক্ষমতা হাতে নেয়া হয়েছিলো। আজ খাদ্য ঘাটতি তো দূরের কথা আওয়ামীলীগ দেশকে খাদ্যে স্বয়ং-সম্পূর্ণ করে উল্টো রপ্তানি করছে। বিএনপি-জামাতের অপরাজনীতি কিভাবে রুখতে হয় তা আওয়ামীলীগের জানা আছে। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যেখানে দুর্নীতির অপরাধে সাজা খাটছেন সে খানে আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের নেতৃত্ব দিয়ে আজ বিশ্ব নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তাই আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলি। পরে বিকাল ৫টায় শহরের নজরুল ব্যানকোয়িট হলে কাউন্সিলারদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় জুড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের কাউন্সিল।
Post Views:
0