স্টাফ রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজারের মনুব্রীজ সংলগ্ন মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভের কিনার ঘেষে দূর্গাপূজার মঠ তৈরীর উদ্যোগ নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। স্মৃতি স্তম্ভের পবিত্রতা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। ১৯৭১ সনের মুক্তিযুদ্ধকালে মনু নদীর পুরাতন ব্রীজে হানাদার বাহিনীর প্রদর্শনী হত্যাকান্ড এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের সমর্থকদেরকে ধরে এনে ব্রীজের উপর হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয়ার ঘটনাকে অম্লান রাখার লক্ষ্যে পুরাতন ব্রীজের সংযোগ স্থলে তৈরী করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রস্তাবনায় এবং এল.জি.ই.ডির তত্ত্বাবধানে ৬৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে স্মৃতি স্তম্ভটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে অতিসম্প্রতি। জানা গেছে- দৃষ্টিনন্দন স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ কালে স্থানীয় “হরিজন যুব সংঘ” আপত্তি এনেছিলো। সড়ক ও জনপথ বিভাগের মালিকানাধীন পুরাতন মনুব্রীজের সংযোগস্থল দখল করে কথিত হরিজন যুব সংঘ এখানে প্রতিবছর দূর্গাপূজার মঠ তৈরী করে পূজা আয়োজন করে আসছিলো। এই অজুহাতে এখানে স্মৃৃতিস্তম্ভ নির্মাণে আপত্তি এসেছিলো তাদের পক্ষ থেকে। কিন্তু এ আপত্তি ডিঙ্গিয়ে ঠিকাদার পক্ষ দ্রুতগতিতে কাজ সম্পন্ন করে। এই অন্তরাল বাদপ্রতিবাদের জের হিসেবে হরিজন যুব সংঘ স্মৃতিস্তম্ভের কিনার ঘেষে দূর্গাপূজার মঠ তৈরীর উদ্যোগ নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জামাল উদ্দিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মিটিং ছাড়াও মৌখিক ভাবে আপত্তি উপস্থাপন করা হয়েছে। তারপরও কোন সূতারটানে কি হচ্ছে তা স্পষ্ট নয়। বর্ষিয়ান এক মুক্তিযোদ্ধা বলেন- মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ অঙ্গঁণে মঠস্থাপন করে পূজা আয়োজনের দৃষ্টান্ত নজির বিহীন এবং মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনার পরিপন্থী। তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া অবশ্য থাকবে। আজ এখানে হচ্ছে পূজা, কাল আরেক পক্ষ ওয়াজ মাহফিল করার বায়না ধরবে। তারপর স্মৃতিস্তম্ভের বারোটা বাজবে।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে দূর্গা পূজার মঠ!
