বিশেষ প্রতিনিধিঃ সম্মেলনের ভিত্তিতে পাঁচটি উপজেলাতে আওয়ামীলীগের কাউন্সিল এবং নতুন কমিটি গঠন নিয়ে দৌড়ঝাপ শুরু হলেও সহসা তা ঝিমিয়ে পড়েছে। কেউ বলছেন নেতৃত্বের কায়েমী স্বার্থকে আরও কিছুটা দীর্ঘ্যয়িত করণ আবার কেহ বলছেন- প্রস্তুতিতে টানাপোড়নের কারণে যথা সময়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে পারছেনা। তবে জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ বলছেন- পিছু হটা সাময়িক ব্যাপার। এই পিছু টানকে ধাতস্থ করেও সম্মেলন সম্পন্নকরণ ছাড়া আর কোন পথ নেই।
সাত উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের কেবল মাত্র বড়লেখা উপজেলা ব্যতীত বাকী ৬ টি উপজেলাতেই নির্ধারিত মেয়াদ শেষে সম্মেলনের ধারাবাহিকতা অনুপস্থিত। রাজনগরে সম্মেলন নেই গত পচিঁশ বছর ধরে। বাকী সব উপজেলা কমিটির স্থিতি মেয়াদ পনেরো বছর অতিক্রম করতে চলেছে। রহস্যজনক ভাবে সম্মেলন ছাড়াই চলছে সাংগঠনিক কার্যক্রম। এ নিয়ে উপর মহলে যেমন তেমন দলের তৃণমূল পর্যায়ে চলছে নাভিশ্বাস এবং আলোচনা সমালোচনা। পদ পদবীকে ব্যবহার করে দলের পরিবর্তে ব্যক্তি ইমেজ এবং সুবিধাভোগ যতটুকু সম্ভব ধরে রাখা যায়-এই প্রক্রিয়া অবলম্বনই হচ্ছে সম্মেলন বিলম্বিত করার মূল কারণ বলে তৃণমূলের অভিমত। বিমূর্ত এই অনুভূতি আঁচ করতে পেরে জেলা আওয়ামীলীগ মৌলভীবাজার সদরের সম্মেলন ৭ সেপ্টেম্বর, শ্রীমঙ্গল ৮ সেপ্টেম্বর, জুড়ী ১০ সেপ্টেম্বর, কমলগঞ্জ ২০ সেপ্টেম্বর এবং কুলাউড়া সম্মেলন ২৮ সেপ্টেম্বর তারিখে অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারিত করেছিল। সম্মেলনকে সামনে রেখে তৃণমূলে সাড়াও পড়েছিলো। আওয়াজ উঠেছিলো- রেডিমেড কমিটি মানবোনা। তৃণমূলের মতামত এবং সমর্থনের ভিত্তিতেই কমিটি গঠন করতে হবে। এমতাবস্থায় সবকটি উপজেলাতেই নতুন নেতৃত্বের অধিষ্ঠান স্পষ্ট হয়ে উঠেছিলো। কিন্তু নির্ধারিত তারিখে সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে অনিবার্য্য করণ দেখিয়ে। সেপ্টেম্বরের সম্মেলনকে পিছিয়ে দেয়া হয়েছে অক্টোবরে। এব্যাপারে জেলা আওয়ামীলীগ সম্পাদক মিছবাউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- সম্মেলন প্রস্তুতির ক্ষেত্রে কোন কোন উপজেলায় কিছুটা বিলম্ব এবং কোন কোন উপজেলায় নির্বাচিত সংসদ সদস্যের অনুরোধের কারণে সম্মেলনের তারিখ পিছানো হয়েছে। তবে পরিবর্তিত তারিখ তথা অক্টোবর মাসের মধ্যে সম্মেলন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে কোন ছাড় দেয়া হবে না।
Post Views:
0