ষ্টাফ রিপোর্টারঃ বিধিবিধানের খড়গ শুধু শহরের সেন্ট্রাল রোডে। তাই বজ্র আটুনীর কবলে পড়েছেন যাত্রী এবং পথ চারীরা। তাতে ভোগান্তির পাশাপাশি চাপা ক্ষোভও ঘনীভূত হচ্ছে। মৌলভীবাজার শহরের সেন্ট্রাল রোড দিয়ে সিএনজি চালিত টমটম এর যাতায়াত বারণ করা হয়েছে গত তিন বছর আগে। এমতাবস্থায় টম টমের স্থান দখল করে নিয়েছে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা। শহরের এসআর প্লাজা থেকে চৌমুহনী পর্যন্ত যাত্রী পিছু পাঁচ টাকা ভাড়া আদায় করে কমপক্ষে ১’শটি অটোরিক্সা সকাল থেকে রাত দশটা পর্যন্ত আপডাউন চলাচল করছিলো নির্বিঘেœ। কিন্তু তাতেও ধরেছে ব্যতিক্রম। গত ৩রা সেপ্টেম্বর থেকে সিএনজি চালকরা যাত্রীদের নিকট থেকে মাথাপিছু পাঁচ টাকার স্থলে দশ টাকা আদায় করছে। তার পেছনে খাড়া করা হয়েছে অজুহাত। চালকরা বলছেন-সিএনজিতে পাঁচ জনের স্থলে তিনজন যাত্রী পরিবহনের নির্দেশ দিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ। তাই পাঁচ টাকার ভাড়া উঠেছে দশ টাকায়। স্বপ্রণোদিত হয়েই চালকরা এই ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। তাতে বাকবিতন্ডা জমে উঠেছে। দুর্মুখ যাত্রীরা বলছেন, আইন কি তবে শুধু সেন্ট্রাল রোডের জন্য? গোটা জেলাতে সিএনজি চালকরা পাঁচ জন করে যাত্রী পরিবহণ করছে। সেখানে আইন প্রয়োগ হচ্ছে না কেনো? শহরে সিএনজির ভাড়া বৃদ্ধির সুযোগে রিক্সা চালকরাও ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। আগে দশ টাকায় চৌমুহনা টু পশ্চিম বাজার যাত্রী পরিবহণ করলেও এখন হাঁকা হচ্ছে ২০ টাকা। এমতাবস্থায় সূর উঠেছে “মর পাবলিক”। বিধি বিধানের মাশুল দিতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদেরকে। এদিকে সেন্ট্রাল রোডে ভাড়া বৃদ্ধির ফলে অন্যান্য রোডে চলাচলকারী রিক্সা এবং সিএনজি হুমড়ি খেয়ে পড়েছে এই রোডে। ফলে যানজটও বেড়েছে তুলনা মূলক ভাবে।
সর্বশেষ-সেন্ট্রাল রোডে যাত্রী পরিবহণে দ্বিগুণ ভাড়া আদায়ের ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার মাইকিং করে পুর্বতন ভাড়া ৫টাকা বহাল রাখার ঘোষণা দিলেও অবস্থার তেমন পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না।