ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাক্ছুদুর রহমান পাটওয়ারী বলেছেন, বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা করে কাজ করতে হবে। প্রতিটি কাজ স্বচ্ছতার সহিত করবেন। যাতে কেউ আপনার কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে না পারে। স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার মানুষিকতা নিয়ে কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করবেন। জনগণের দৌরগোড়ায় সরকারি সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন তাই করতে হবে এবং প্রয়োজনে মাঠে গিয়ে কাজ করতে হবে।
এসময় তিনি আরও বলেন, ৩০ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি স্বাধীন হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা দেশ এবং জাতির জন্য জীবন দিয়েছেন। তারা নিজের পরিবার নিয়ে কখনো চিন্তা করেননি। ডিসেম্ববরের মধ্যেই ভূমির সকল কাগজপত্র অনলাইনে নিয়ে আসতে হবে। ভূমির কোন কাগজপত্র পেতে যেনো জনগণের কোন ধরণের দূর্ভোগ পোহাতে না হয়। অভিযোগ পেলেই ভূমি কর্মকর্তাদের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রণালয়। মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সোমবার দুপুরে সরকাারি উচ্চ বিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে স্বচ্ছ, দক্ষ ও জনবান্ধব ভূমি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে শুদ্ধাচার ও উত্তম চর্চা বিষয়ক অর্ধদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন তিনি।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বেগম নাজিয়া শিরিন এর সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন, সাবেক অতিরিক্ত সচিব বনমালী ভৌমিক, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. ফজলুল আলী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ারুল হক, প্রেসক্লাব সভাপতি আব্দুল হামিদ মাহবুব, কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম শফি আহমদ সলমান, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান ও বকশি ইকবাল আহমদ প্রমুখ।
ভুমি সচিব আরও বলেন, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি করেছে সরকার। তারপরও কেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দূর্নীতিতে জড়াবেন। সহকারি কমিশনারদের উদ্দ্যেশে বলেন, নামজারী পর্চা পেতে জনগণ যাতে হয়রানির শিকার না হয়। এধরণের কোন অভিযোগ যাতে জনগণের কাছ থেকে না আসে। অভিযোগ আসলে মন্ত্রণালয় অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ। তাই সবাইকে মালিকের সেবা করতে হবে। অনেক সরকারি কর্মকর্তা মনে করেন প্রজাতন্ত্রের মালিক নিজেরাই। তারা সাধারণ মানুষের ফাইল আটকিয়ে ঘুষ দাবি করেন। এধরণের কর্মকর্তা দেশের জন্য, জনগণের জন্য ভালো নয়।
তিনি আরোও বলেন, দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। ২০২১ সালের মধ্যে অবশ্যই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, সকল কর্মকর্তাকে সঠিক সময়ে অফিসে উপস্থিত হতে হবে। মানুষের সাথে মিশতে হবে। কেউ কোন সমস্যা নিয়ে আসলে তার সমস্যার সমাধান করে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানের শেষের দিকে প্রধান অতিথি কর্মশালায় উপস্থিত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
এছাড়াও এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারী, উপজেলা নির্বাহি অফিসার, সহকারি কমশিনার, জেলার সকল পর্যায়ের ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিক বৃন্দ।
Post Views:
0