স্টাফ রিপোর্টারঃ বাংলাদেশে ত্রাণের সংকট নেই। যত ত্রাণ চাওয়া হবে তত দেয়া হবে। দেশ অনেক দূর এগিয়েছে। সরকার বন্যার্ত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রেখেছে। পর্যাক্রমে এগুলো বিতরণ করা হবে। মৌলভীবাজারের মনুনদী প্রতিরক্ষার জন্য ইতি মধ্যে ১ হাজার ২ কোটি ও কুশিয়ারা নদীর উন্নয়নে ৪’শ ৯৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আশাকরি এ বছরের মধ্যেই উভয় নদীর কাজ শুরু করা সম্ভব হবে। মৌলভীবাজারে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণে এসে মনুনদী পরিদর্শন শেষে উপরের কথা গুলো বলেন প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী ও আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম।
তিনি আরোও বলেন, মনুনদী রক্ষা প্রকল্পের কাজ শুরু হলে সদর, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলার বাসিন্দারা সুবিধাভোগ করতে পারবেন। নদীর উভয় পারে গাইডওয়াল স্থাপন করা হবে এবং শহর ও গ্রামে পানি না ঢোকার ব্যবস্থা করা হবে।
এসময় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতি মন্ত্রী ডঃ মো. এনামুর রহমান বলেন, বন্যার খবর পাওয়ার সাথে সাথে ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিংয়ে বসে দুর্গত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়। ক্রমান্বয়ে চাহিদা অনুসারে ত্রানের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হবে। তিনি আরও বলেন, মৌলভীবাজারের বন্যা দূর্গতদের মাঝে ইতি মধ্যে ৬৫০ মেট্টিক টন চাল, নগদ ৯লক্ষ টাকা ও ২হাজার ৪’শ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশুর খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। এজন্য আমরা প্রতি জেলায় ১ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ দিয়েছি। আশ্রয় কেন্দ্রের বাহিরে যারা আছেন তাদের জন্য প্রতিটি জেলায় ৫’শত তাবু বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তিনি আরোও বলেন, বন্যা দূর্গত এলাকায় দূর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণ করা হবে। গত অর্থ বছরে সারা দেশে ১১ হাজার ৬’শ ৪টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে এবং এ অর্থ বছরে আরও ২৩ হাজার ঘর নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
পরে অতিথিরা জেলার রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রি বিতরণ করেন। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদের পরিচালনায় ত্রাণ বিতরণে উপস্থিত ছিলেন মহিলা সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আশরাফুল আলম খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল, পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহি প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন, রাজনগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান খান, জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, আওয়ামলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।