মনির উদ্দিন ফ্রান্স থেকেঃ বিয়ের পরেই পহেলা রমযান মাস মানেই মেয়ের বাড়িকে চাপিয়ে দেওয়া সমাজে প্রতিষ্ঠিত এক ইফতারী প্রথা। যা একজন নারীর সম্মান ও অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ। নিরবে নারীদের সম্মানকে হরণ করা হচ্ছে এই প্রথার মাধ্যমে। পহেলা রমযানে শশুর বাড়িতে ইফতারের দাওয়াত মানে হলো আসতে হবে, তবে খালি হাতে নয়, দুই হাত ভরে।
বরকতময় মাসের একটি দিন নষ্ট করা হয় এই আয়োজন দিয়ে। যারা ভিন্ন ভাবে এই আয়োজনকে পালন করেন, উৎসাহিত করেন, সমর্থন দেন কেউ বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেনা সওয়াবের উদ্দেশ্য নিয়ে দাওয়াত করেন। এই দিনের আয়োজন এতো বেশি হয় যে এগুলো সামাল দিতে গিয়ে অনেকের মাগরিবের সালাত এবং যথাসময়ে ইফতার কোন দিকে চলে যায় কোন খবর থাকেনা।
মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে বাধ্য হয়ে অংশ নিতে হয় অনেককে এই আয়োজনে। লজ্জা জনক বিষয় হলেও সত্য-মেয়ের মাধ্যমে মেয়ের বাড়িকে স্বরন করিয়ে দেয়া হয় ইফতারি নিয়ে আসতে।
আসুন আমরা এসব নিলজ্জ কাজ থেকে বেরিয়ে আসি। সওয়াবের আশায় একে অপরকে ইফতার করাই এটা ভালো কাজ। তবে শর্ত হলো দাওয়াতী মেহমানের হাতের দিকে চেয়ে থাকার মানসিকতা পরিবর্তন করে আল্লাহর সন্তুষ্টির দিকে নজর দেয়া ।
আসুন আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এবং ইসলামী সামাজিকতার জন্য আমাদের নিজেদের তৈরি করা ইফতারি প্রথাকে না বলি।
শশুর বাড়ির ইফতারি প্রথা ও কিছু কথা
