কমলগঞ্জ প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমশেরনগর চাতলাপুর সড়কের তানজিম আবাসিক হোটেলের গোসলখানা থেকে গত ২৯ ডিসেম্বর সাইফুল ইসলাম (২৪) নামে এক বিজিবি সদস্যের লাশ পুলিশ উদ্ধার করেছিল। ঘটনার ১ মাস ২ দিন পর বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শ্রীমঙ্গল ৪৬ নং বিজিবি ব্যাটেলিয়নের ফটকের সামনের সড়ক থেকে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (তদন্ত) অরুপ কুমার চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশ হত্যা মামলার একমাত্র আসামী আরেক বিজিবি সদস্য আসাদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামী কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের লালারচক ক্যাম্পের সদস্য ছিল। সে দিনাজপুর জেলার বাঁশ বাড়িয়ার আমজাদ হোসেনের ছেলে।
এদিকে নিহত বিজিবি সদস্য সাইফুল ইসলাম শরীফপুর ক্যাম্পের সদস্য ছিল। সে চট্রগ্রামের মিরসরাই উপজেলার দুয়ারু এলাকার নুরুল আমীনের ছেলে।
পুলিশ ফাঁড়ি সূত্রে জানা যায়, ঘটনার ৪ দিন পর ২৯ ডিসেম্বর তানজিন আবাসিক হোটেলের তৃতীয় তলার পানির লাইনে কাজ করতে গিয়ে ২১১ নং কক্ষের গোসলখানায় বিজিবি সদস্য সাইফুলের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
শ্রীমঙ্গলস্থ ৪৬ নং বিজিবি ব্যাটেলিয়ন কমান্ডার ল্যা. কর্ণেল আব্দুল্লাহ মোমেনের উপস্থিতিতে সাইফুলের লাশ উদ্ধারকালে প্রাথমিক তদন্তে মূল হত্যাকারী অপর বিজিবি সদস্য আসাদুলের পরিচয় পাওয়া গিয়েছিল। এর পর থেকে বিজিবি ব্যাটেলিয়নে মূল হত্যাকারী আসাদুলকে আটকিয়ে রেখে বিভাগীয় তদন্ত শেষে ৩১ জানুয়ারি তাকে বিজিবি থেকে বহিষ্কার করা হয়। এ দিন সন্ধ্যায় অরুপ কুমার চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল আসামী আসাদুলকে গ্রেফতার করে।
শুক্রবার বিকাল ৫টায় আসামী বহিস্কৃত বিজিবি সদস্য আসাদুলকে মৌলভীবাজার আদালতে বিজ্ঞ হাকিমের কামরায় প্রেরণ করা হয়েছে।
এক মাস পর হত্যা মামলার মূল আসামী গ্রেফতার
