স্টাফ রিপোর্টার:
জাতীয়করণ থেকে বাদপড়া মৌলভীবাজারের ৭৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩’শ শিক্ষক দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে সরকারি বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা থেকেও ওই বিদ্যালয় গুলোর শিক্ষক ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত।
বিদ্যালয় গুলো জাতীয়করণের দাবিতে শুক্রবার দুপুরে মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় শিক্ষকরা তাদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে এমপি’র কাছে একটি মানপত্র দেন।
মানপত্রে শিক্ষকরা উল্লেখ করেন, জেলার ৭৩টি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দীর্ঘ দিন যাবত প্রধানমন্ত্রী বরাবর এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিক আবেদন করেও এ পর্যন্ত কোনো ইতিবাচক সাড়া পাননি। মানপত্র থেকে জানা যায়, জেলায় বাদপড়া ৭৩টি বিদ্যালয়ের মধ্যে বড়লেখায় ১১, জুড়ীতে ১৫, কুলাউড়ায় ৩, রাজনগরে ১২, সদরে ১৩, কমলগঞ্জে ১৪ ও শ্রীমঙ্গলে ৪টি বিদ্যালয় রয়েছে। ওই বিদ্যালয় গুলোতে প্রায় ১০ হাজার ৯’শ ৫০ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ৭৩টি বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রায় অর্ধেক বিদ্যালয় চা বাগানে। বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ না হওয়ায় সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। যার কারনে লেখাড়ায় পিছিয়ে পড়ছেন তারা। অনেকেই পঞ্চম শ্রেণীর গন্ডি পেরোতে পারছেন না। যার ফলে ওই গ্রামগুলো শিক্ষার আলোয় আলোকিত হচ্ছে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল মালেক, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মদরিছ আলী, সহ-সভাপতি চন্দন কুমার পাশী, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহের হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদীকা লিপি বেগম, নয়ন সিংহসহ জেলার বিভিন্ন চা বাগান বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
মৌলভীবাজারে ৭৩টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবি
