স্টাফ রিপোর্টার:
জেলা জুড়ে আতঙ্ক আর সম্ভাবনায় ২০১৮ সাল কাটিয়েছেন প্রবাসী অধ্যুষিত, চায়ের রাজধানী খ্যাত পর্যটন নগরী মৌলভীবাজারবাসী। বিগত বছরে জেলায় উল্লেখ যোগ্য ছিল বন্যা, অগ্নিদুগ্ধ হয়ে মা-মেয়ের মৃত্যু, জোড়া খুন, ৪ রাজাকারের ফাঁসি ও অ্যাম্বুলেন্স আটকিয়ে ৭ দিনের শিশুর মৃত্যু। এছাড়াও ছিল নানা ঘটনা দুর্ঘটনা। সব কিছু ভুলে নতুন বছরের নতুন স্বপ্ন দেখছেন মৌলভীবাজারবাসী।
২০১৮ সাল অনুসন্ধ্যানে জানা যায়, ২৫ এপ্রিল রাতে জেলার রাজনগরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মা রোকেয়া এবং তার মেয়ে শাহীনা মারা যান। শাহীনা মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের স্নাতক (সম্মান) শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। ১৪ জুন ঈদুল ফিতরের আগের দিন ধলাই ও মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজার সদর, কুলাউড়া ও কমলগঞ্জ উপজেলার কয়েক শত ঘর বাড়ি তলিয়ে যায়। যার কারনে ঈদের আনন্দের পরিবর্তে দুর্ভোগ নেমে আসে জেলাবাসীর মধ্যে। বন্যায় রাস্তা ঘাট ভেঙ্গে ক্ষতি হয়েছে কয়েক শত কোটি টাকার। ১৪ জুলাই মৌলভীবাজার সদর উপজেলার পম্মদপুর এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধওে ২ জন নিহত এবং ৪০ জন আহত হন। একাত্তরে হত্যা, ধর্ষণ, গণহত্যা, নির্যাতন, লুণ্ঠন ও সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১৭ জুলাই মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের সাবেক মুসলীম লীগ নেতা আকমল আলী তালুকদার, পেঁটুগাঁও গ্রামের আব্দুন নূর তালুকদার লাল, কানিকিয়ারী গ্রামের ইউনুছ মিয়া ওরফে আনিছ মিয়া ও মোছাব্বির মিয়া ৪ রাজাকারকে মৃত্যুদ- দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২৮ অক্টোবর মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার চান্দগ্রাম এলাকায় পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ৪৮ ঘন্টার কর্মবিরতি চলাকালে অ্যাম্বুলেন্স আটকা পড়ে ৭দিন বয়সের এক শিশু মারা যায়। বছরের শেষের দিকে এসে একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দীর্ঘ দিনের বিভক্ত আ’লীগ ও বিএনপি’র নেতাকর্মীরা বিভেদ ভুলে একত্রিত হন।
এছাড়াও ২০১৮ সাল জেলা জুড়ে নানা ঘটনায় আলোচিত-সমালোচিত ছিল। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কেউ কেউ হয়তো ইতিহাসের পাতায় খুঁজবেন অতীতের ফেলে আসা ২০১৮ কে।
Post Views:
0