ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর, কুলাউড়া ও জুড়ী উপজেলায় রোববার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে পুলিশ জামায়াতের ১৫জন নেতা কর্মীকে আটক করেছে। পরে সোমবার দ্রুত আইনে মামলা দেখিয়ে তাদেরকে হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, শ্রমিক কল্যাণের জেলা সাধারণ সম্পাদক আহমেদ ফারুক (৪০), জামায়াত নেতা আব্দুল মতিন (৫০), মো: মাহমুদুর রহমান (২৬), আব্দুল করিম (৩৫), মনির আহম্মদ (২২), সাকিবুর রহমান মেরাজ (২২), কুলাউড়া উপজেলার সাজ্জাদ আহম্মদ শাকিল (২০), জামিলুর রহমান (২২), আসাদ আহম্মদ (২৭), পারভেজ আহমদ (২৫), জনি মিয়া (২৭), জুড়ী উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মুকিত মিয়া (৪০), ফুলতলা ইউনিয়নের সভাপতি মো: ফরিদ মিয়া (৪৫) ও রাজনগর উপজেলা জামায়াতের টেংরা ইউনিয়ন সভাপতি মরতুজ আলী (৪৫)।
এবিষয়ে সোমবার রাতে কুলাউড়া উপজেলার পাবই থেকে গ্রেফতার হওয়া জামিল রহমানের বড় ভাই মাহিরুল ইসলাম বলেন, আমার ছোট ভাই মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের মাষ্টার্সের শিক্ষার্থী। তার বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা নেই। তারপরেও রাত ২টায় বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে গ্রেফতারকৃত একাধিক নেতাকর্মীর উপর এর আগে মামলা ছিল না। কিন্তু তারপরেও তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।
এবিষয়ে জেলা বিএনপি’র সভাপতি এম নাসের রহমান বলেন, গ্রেফতার বন্ধের জন্য জেলা রিটানিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে এবং পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করে বিষয়টি অবগত করেছি।
মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহ জালাল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে থানায় নাশকতার মামলার রয়েছে।
মৌলভীবাজারে জামায়াতের ১৫ নেতাকর্মী আটক
