শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:
গত দশ বছরে উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদের সম্পদ বেড়েছে ২ কোটি ৫৮ লক্ষ ২৬ হাজার ৭০৫ টাকা। নির্বাচন কমিশনে মনোনয়ন পত্রের সাথে দাখিলকৃত হলফনামার বিবরণী থেকে এ তথ্য জানা যায়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-৪ আসনে (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আব্দুস শহীদ। তিনি একই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য। ইসিতে দাখিলকৃত হলফনামার বিবরণ থেকে জানা যায়, মোট স্থাবর, অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি ৭৫ লাখ ৮ হাজার ৫৩০ টাকার। ২০০৮ সালে তার মোট স্থাবর, অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৮৬লাখ ৮৪ হাজার ৭০৭ টাকা যা ১০ বছরের ব্যবধানে সাড়ে ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১০ বছর আগে স্ত্রীর নামে কোন সম্পদ না থাকলেও ২০১৮ এ স্ত্রীর নামে অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন ৩১ লাখ ৭৪ হাজার ৫৮৭ টাকা। পেশা হিসেবে হলফনামায় কৃষিকাজ ও ব্যবসা উল্লেখ্য করা মো. আব্দুস শহীদ এমপি দেখিয়েছেন গত ১০ বছরে সম্পদ বাড়ার সাথে সাথে বার্ষিক আয় আয়ের পরিমাণ প্রায় ২৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৮ সালে তাঁর আয় ছিল ২ লাখ ৬৯ হাজার টাকা বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ লাখ ২ হাজার ১শ ৫৮ টাকায়। আয়ের উৎস হিসেবে সংসদ এবং চাকুরী থেকে দেখিয়েছেন ২৩ লাখ ১৪ হাজার ৮৯৭ টাকা, বাকী আয় কৃষি, বাড়ী ভাড়া, শেয়ার এবং গ্লোবাল লিংক লিমিটেড থেকে দেখিয়েছেন তিনি। ২০০৮ সালে স্ত্রীর কোন আয় না থাকলেও বর্তমানে স্ত্রীর আয় দেখিয়েছেন ৯৪ হাজার ৭১৩ টাকা। ২০০৮ সালে স্থাবর সম্পদ ছিল ২০ লাখ ৪ হাজার ৫০ টাকার যা বর্তমানে ১ কোটি ৫০ লাখ ১১ হাজার ১৫০ টাকা । স্থাবর সম্পদ বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৭ গুন। এর মধ্যে আছে ৮ টি এপার্টমেন্ট। অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১০ বছর আগে ছিল ৬৬ লাখ ৮০ হাজার ৬৫৭ টাকা মূল্যের যা বর্তমানে প্রায় ৫ গুন বেড়ে ৩ কোটি ২৫ লাখ ৭ হাজার ৩৮০ টাকা। ১০ বছর আগে ২ গাড়ী বাবদ দেখিয়েছেন ৫০ লাখ ২ হাজার ২শ টাকা বর্তমানে গাড়ী বাবদ (কয়টি গাড়ী উল্লেখ নেই) দেখিয়েছেন ১ কোটি ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ৮শ টাকা। ১০ বছর আগে নগদ টাকা ছিল ১১ লাখ ৮৬ লাখ ৭৫৫ টাকা বর্তমানে তা প্রায় ৫ গুন বেড়ে ৫১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৫ টাকা।
এ বিষয়ে আব্দুস শহীদ এমপি বলেন, বাংলাদেশে সব মানুষের মাথা পিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে আমারো পেয়েছে এবং সঠিক ভাবে আয় উপার্জন করতে যে বুদ্ধি এবং জ্ঞানের প্রয়োজন হয় আল্লাহ তা আমাকে দিয়েছেন। তবে এটা বলতে পারি আমার কোন অবৈধ আয় নেই যা আছে সব বৈধ।
Post Views:
0