স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকা থেকে মৌলভীবাজার ফেরার পর মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও মরহুম সৈয়দ মহসিন আলীর সহধর্মিনি সৈয়দা সায়রা মহসিনের বাসায় গেলেন মৌলভীবাজার-৩ আসন থেকে নৌকার মনোনীত প্রার্থী ও জেলা আ’লীগের সভাপতি নেছার আহমদ। এসময় উনার সাথে জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান ও পৌর মেয়র ফজলুর রহমানসহ জেলার বিভিন্ন স্থরের নেতৃবৃন্দ ছিলেন। একটি সূত্র জানায়, সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করার সিদ্ধান্ত নেন দুটি বলয়ের নেতারা। এদিকে দলীয় মনোনয়ন চুড়ান্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত দুই মেরুতে ছিলেন নেছার আহমদ ও সৈয়দা সায়রা মহসিন। উভয়ই দুটি বলয়ের নেতৃত্ব দিতেন।
জানা যায়, ২০০৬ সালের পর থেকে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের কোনো সম্মেলন না হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছিল। এর প্রেক্ষিতে গত বছরের ২৮ অক্টোবর ছোট পরিসরে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ওই সম্মেলনে নেছার আহম্মদকে সভাপতি ও মিছবাহুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। কমিটির সহ-সভাপতি, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের নাম ঘোষণার পর আত্মীয় করনের অভিযোগে উঠে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা আ’লীগের কোন্দল মাথাছাড়া দিয়ে উঠে এবং দুটি বলয় তৈরি হয়। প্রয়াত সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর বাড়ির অনুসারীরা একটি বলয় তৈরি করে। এদিকে নেছার আহমদ এর নেতৃত্বে অপর একটি বলয় তৈরি হয়। কিন্তু এখন তারা সকল ভেদাভেদ ভুলে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে একতাবদ্ধ।
এ বিষয়ে জেলা আ’লীগের সভাপতি ও আ’লীগের মনোনীত প্রার্থী নেছার আহমদ বলেন, আমি ও কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকরতে উনার বাসায় গিয়েছি। আমাদের অতিতের সকল ভেদাভেদের অবসান হয়েছে। আমরা মৌলভীবাজার-৩ আসনে ব্যক্তি নয় নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
অভিমান ভুলে সায়রার বাসায় গেলেন নেছার
