স্টাফ রিপোর্টার:
কুলাউড়ায় তাজমহল ডায়াগষ্টিক সেন্টারের বিরোদ্ধে ভূয়া টেকনোলজিস্ট ও ভুয়া ডাক্তার দ্বারা ভুল রিপোর্ট প্রদানের অভিযোগে জেলা প্রশাসক ও র্যাব শ্রীমঙ্গলের কমান্ডিং অফিসার বরাবর সোমবার ১২ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন জুবায়ের আহমদ রুহেল নামে এক ভূক্তভোগী।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, রুহেল অক্টোবর মাসের ২৩ তারিখে তার অসুস্থ মা’কে নিয়ে ডাঃ মোঃ নুরুল হকের চেম্বারে যান।
ডাক্তারের নির্দেশক্রমে তার মায়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাজমহল ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে গিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাফি, ডায়াবেটিস ও হিমোগ্লোবিন নামক পরীক্ষাগুলো করান।
পরবর্তীতে তাজমহল কর্তৃপক্ষ ডাক্তার জয়শ্রী সিনহা ও এমটি ল্যাব মোঃ মাহফুজুর রহমানের নামের শীল ও স্বাক্ষর সম্বলিত একটি রিপোর্ট প্রদান করে।
এই রিপোর্ট অনুযায়ী ডাক্তার মোঃ নুরুল হক তার মায়ের চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র দেন।
দুই দিন ঔষধ সেবনের পর ২৬ অক্টোবর ভোর রাতে তার মায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়ে পড়লে মুমুর্ষ অবস্থায় কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
অবস্থার আরো অবনতি হলে সেখান থেকে দ্রুত এম্বুলেন্সে করে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
ওসমানী মেডিকেলের কর্তব্যরত ডাক্তার তাৎক্ষণিক আলট্রাসনোগ্রাফি, ডায়াবেটিস ও হিমোগ্লোবিন নামক পরিক্ষাগুলো করান এরপর কুলাউড়া তাজমহল ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের রিপোর্টগুলো দেখে উক্ত রিপোর্টগুলো ভুল বলে মন্তব্য করেন।
ওসমানী হাসপাতালের রিপোর্ট অনুযায়ী তার মায়ের চিকিৎসা শুরু করেন ডাক্তারগণ। পরদিন থেকে তার মা একটু একটু সুস্থ হতে থাকেন। সেখানে ৭দিন চিকিৎসার পর ডাক্তারের ছাড়পত্র সহ মা’কে নিয়ে বাড়িতে আসেন।
তিনি লিখিত অভিযোগে আরোও বলেন, তাজমহল ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের কোন প্রশিক্ষিত এম.টি (ল্যাব) নেই। ইউএসজি করার জন্য কোন ডাক্তার ও এক্স-রে করার জন্য কোন রেডিওলজিস্ট নেই। এই সমস্ত পরীক্ষাগুলো সেন্টারের নন মেডিকেল পার্সন ধারা করানো হয়।
ঐ সেন্টারে প্রশিক্ষিত জনবল না থাকার কারণে তিনি সহ সেবা নিতে আসা সকল গ্রহিতা প্রতিনিয়ত প্রতারিত ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। এমনকি অনেক লোকের জীবনহানী ঘটছে।
লিখিত অভিযোগে তিনি ঐ সেন্টারের বিরোদ্ধে ভুক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন করেন।