ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
করোনাভাইরাসের সংক্রমন রোধে হাত ধোয়ে পরিষ্কার রাখতে মৌলভীবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যোগে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বেসিন বসানো হয়েছে। প্রতিটি বেসিনের পাশে হাত ধোয়ার উপকরণ হিসেবে সাবান রাখার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু অধিকাংশ বেসিনে নেই পানি। হাত ধোয়ার উপকরন সাবান নেই কোনোটিতেই। মনে হচ্ছে এগুলো প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়েছে। অনেকেই হাত ধোতে এসে পানি না পেয়ে ফেরত যাচ্ছেন।
জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর জানায়, পুরো জেলায় ৪৪টি বেসিন নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি বেসিনের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ১’শ টাকা।
সরেজমিন দেখা যায়, পৌর শহরের টিসি মার্কেটের বিপরীতে সড়ক ও জনপদ মসজিদের দেয়া বসানো বেসিনে পানি নেই। নেই হাত ধোয়ার উপকরন সাবান। এসময় দেখা যায় মজিদ নামের এক ব্যক্তি হাত ধোতে এসে পানি না পেয়ে ফেরত যাচ্ছেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচের বেসিনে গেলে দেখা যায় উপর থেকে পড়া ময়লা ও ধূলায় বেসিনটি ভরে আছে। মনে হচ্ছে কয়েক মাস ধরে এখানে কেউ হাত ধোয়নি। এদিকে জেলা সদর হাসপাতাল ও ক্লাব রোডে বসানো ২টি বেসিনে গেলে দেখা যায় পানি আছে কিন্তু সাবান নেই।
পৌরসভার একাধিক নাগরিক বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকী ও দায়িত্বহীনতার কারণে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে বেসিন নির্মাণ করেও কোনো কাজে আসছে না।
এবিষয়ে মৌলভীবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ খালেদুজ্জামান বলেন, প্রতিটি বেসিন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে। বেসিনে পানি আছে কি না দেখার দায়িত্ব তাদের। তার পরেও কোনো সমস্যা থাকলে আমার লোক মেরামত করে দিবে।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, প্রথম দফা লকডাউনের আগে বেসিনে পানি এবং যাবতীয় উপকরণ রাখার জন্য জেলার প্রতিটি দপ্তরকে চিঠি দিয়েছি। শহরের জনসমাগমের স্থানে বসানো বেসিনে পানি না থাকলে আজই ব্যবস্থা নিচ্ছি। আগামীকাল সব ঠিক হয়ে যাবে।
মৌলভীবাজারে বেসিনে পানি নেই, দূর্ভোগে সাধারণ মানুষ
