ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
করোনা ভাইরাসে দীর্ঘ ৪ মাস যাবত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মানববেতর জীবন যাপন করছেন মৌলভীবাজার জেলার কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পাঁচ হাজার শিক্ষকবৃন্দ। অনেকটা খেয়ে না খেয়ে পরিবার নিয়ে কোনো রকম বেঁচে আছেন তারা। বিদ্যালয়ে পাঠদানের পাশাপাশি টিউশনিও বন্ধ থাকায় বড় ধরনের আর্থিক সংকটে পড়েছেন শিক্ষকরা। কিন্তু আজ পর্যন্ত সরকারিভাবে তারা কোনো প্রণোদনা পাননি।
জানা যায়, জেলার ৭ উপজেলায় ৪’শ ১৪ টি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ৫ হাজার ১’শ ৯০ জন শিক্ষক কর্মচারী কর্মরত আছে। সবাই এখন পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের কেন্দ্রঘোষিত দেশব্যাপী শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি’র অংশ হিসেবে বুধবার সকালে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
সংগঠনের মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল এহসান বিন মুজাহিরের সভাপতিত্বে ও জেলা সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা শাখার উপদেষ্টা ও বড়লেখা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এর প্রধান শিক্ষক তপন চৌধুরী, রাজনগর শাহ পরান (রাহ.) কিন্ডারগার্টেন স্কুল এর প্রধান শিক্ষক মোঃ শামছুদ্দিন সমছু, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান, সংগঠনের রাজনগর উপজেলা সভাপতি মোঃ ফখরুল ইসলাম, শ্রীমঙ্গল উপজেলা সভাপতি মোঃ আলী আহমদ ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান রাহাত প্রমুখ। এছাড়াও অবস্থান কর্মসূচিতে বিভিন্ন উপজেলার কয়েকশ শিক্ষক অংশ গ্রহণ করেন।
বক্তারা বলেন, প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ ভাইরাসের কারণে সরকারের নির্দেশে গত চার মাস ধরে দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে আমরা কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ রেখেছি। ফলে প্রতিষ্ঠানের আয়ের একমাত্র উৎস ছাত্র-ছাত্রীদের মাসিক বেতন বন্ধ। তাই শিক্ষক, কর্মচারির বেতন, স্কুল ভাড়া এবং গ্যাস, বিদ্যুত বিলও আমরা পরিশোধ করতে পারছিনা। করোনার দুর্যোগের সময় শিক্ষক, কর্মচারীরা মাসের পর মাস বেতন না পেয়ে পরিবার নিয়ে খুবই মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। স্কুল বেতন ও কোচিং, টিউশনি নির্ভর শিক্ষকরা আজ অর্থকষ্টে দিশেহারা। অনেকেই শিক্ষকতার মতো মহান পেশা ছেড়ে বিকল্প পেশায় যুক্ত হচ্ছেন, আবার কেউ কেউ স্কুল বন্ধ ও প্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ঘন্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচিতে ১০ দফা দাবি উত্তাপন করেন শিক্ষকরা।
Post Views:
0