ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজারের ১০৫২টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এখনও ডিজিটাল বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন লাগানো হয়নি। অথচ সাড়ে ৫ মাস আগে বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন লাগানো হয়েছে দেখিয়ে স্লিপ ফান্ডের টাকা তুলেছেন প্রধান শিক্ষকরা। এদিকে ডিজিটাল বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন লাগানোর জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একাধিকবার তাগদা আসলেও আমলে নিচ্ছেন না জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। অভিযোগ রয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তদারকি ও আন্তরিকতার অভাবে সরকারের এই মহতি উদ্যোগটি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। মৌলভীবাজার জেলার কতটি বিদ্যালয়ে হাজিরা মেশিন লাগানো হয়েছে কিংবা কতটিতে লাগানো হয়নি এধরনের কোনো আপডেটও নেই জেলা শিক্ষা অফিসে।
জানা যায়, কাগজে কলমে ডিজিটাল বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন ক্রয়ের বিল ভাউচার জমা দিয়ে টাকা উত্তোলন করলেও প্রধান শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে এ টাকা নিজেদের পকেটে রেখেছেন। এতে শিক্ষকদের যথাসময়ে স্কুলে উপস্থিতি নিশ্চিত করার সরকারের মহতি উদ্যোগ ভেস্তে গেছে। এই সুযোগে এজেলার অনেক শিক্ষকরা নির্ধারিত সময়ের ১ ঘন্টা পরে আবার কেউ কেউ দেড় ঘন্টা পরেও বিদ্যালয়ে উপস্থিত হচ্ছেন।
জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের রাজস্ব বাজেটের আওতায় বিদ্যালয়ের মেরামত-সংস্কার ও অন্যান্য উন্নয়ন কাজ সম্পাদনের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের ১০৫২টি বিদ্যালয়ে একাধিক ক্যাটাগরিতে কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়।
এবিষয়ে একাধিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলছেন, ডিজিটাল বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন সরবরাহকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে মেশিনের দাম ধর নিয়ে আলাপ আলোচনা চলছে। কিছু দিনের মধ্যেই লাগানো হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মালেকা পারভীন বলেন, ডিজিটাল বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন লাগানোর জন্য শিক্ষকদের একাধিকবার বলা হয়েছে। ইতি মধ্যে শুনেছি কয়েকটি প্রতিষ্ঠান লাগিয়েছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো হয়তো কিছু দিনের মধ্যে লাগাবে।
মৌলভীবাজারে ৬ মাসেও লাগানো হয়নি ডিজিটাল বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন
